কুমিল্লা: ফের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পাহাড়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৮ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পশ্চিম পাশের পাহাড়ে এ আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে কে বা কারা বারবার পাহাড়ে আগুন দিয়েছে তা জানে না বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দেখা যায়, পাহাড়টির প্রায় অর্ধেক বেশি অংশ আগুনে পুড়ে গেছে। পরে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের কর্মচারীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অগ্নিকান্ডের স্থান পর্যবেক্ষণ করেন। এবং এক কর্মচারী জানান, পাহাড়ে নিচে কাজ করতে গিয়ে পাহাড়ে আগুন দেখতে পেয়ে হল প্রশাসনকে জানাই। পরে আমরাসহ অন্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।
বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ে অনেকবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ১৮ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পূর্ব পাশের পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এর আগেও গতবছরের একটি পাহাড়ে পাহাড়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরাই ঝোপঝাড় না কেঁটে পরিচ্ছন্নতার নামে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পাহাড়ে বারবার আগুন দিয়ে জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের প্রতিবাদ জানিয়ে গত ২১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধনও করেছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি বারবার পাহাড়ে আগুন দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে।
এস্টেট শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, আগুন লাগার বিষয়টি জানতে পেরেছি। তবে কে বা কারা বারবার পাহাড়ে আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে সেটা সঠিক বলতে পারব না।
আমার অফিসের শ্রমিকেরা বঙ্গবন্ধু হলের ওই পাহাড়ে কাজ করতে যায় না। সেক্ষেত্রে বহিরাগতরা যেহেতু এদিক দিয়ে চলাচল করে সেসময় হয়তো সিগারেটের আগুন থেকে এমনটা ঘটতে পারে। তবে আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি নিরাপত্তা জোরদার করতে পারে সেক্ষেত্রে এমন ঘটনা কমিয়ে আনা যাবে।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘পাহাড়ে বারবার কারা আগুন দিচ্ছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ যদি এর সাথে জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আগামীনিউজ/মালেক